ঐতিহ্যে সমৃদ্ধময় নদীমাতৃক জেলা পাবনা। এর মাটির গন্ধ, শ্যামল প্রকৃতি মনে রেখাঙ্কন করে। সাহিত্য ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে এ জেলার অবদান নগন্য নয়। কালের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখানে আবির্ভাব ঘটেছে অসংখ্য কবি-সাহিত্যিকের। এই সব শিল্পীর অনবদ্য অবদানে আমাদের সাহিত্য হয়ে উঠেছে সমৃদ্ধ।
সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরী
পাবনা জেলার যে সব শিল্পী-সাহিতিাকের নাম এতে আলোচিত হয়েছে, সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এদের বিশেষ ভুমিকা লক্ষ্যণীয়। প্রথমে কবিতা প্রসংগে আলোচনা করা যেতে পারে। মধ্যযুগে পাবনা জেলার যে সব কবির নাম মেলে তার মধ্যে অদ্ভুত আচার্য বিশিষ্ট প্রতিভার অধিকারী। রামায়ণ-অনুবাদক হিসাবে তিনি পরিচিতি। কবির সময়কাল নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ষোড়শ শতকের কবি হিসেবে তাঁকে চিহ্নিত করা যেতে পারে। ঊনিশ শতকের প্রথমার্ধে এ জেলার কৃষ্ণকিশোর রায়, শশধর রায় মধ্যযুগের মতো পাঁচালীর অনুকরণে কাব্য রচনা করেছেন। এ জেলার কবিদের রচিত অন্যান্য উল্লেখ্য কাব্যের মধ্যে প্রসন্নময়ী দেবী বিরচিত ‘নীহারিকা’, রজনীকান্ত সেনের ‘বাণী’ ও ‘অমৃত’, প্রমথ চৌধুরীর ‘সনেট পঞ্চাৎ’ ও ‘পদচারণ’, প্রিয়মব্দা দেবীর ‘রেণু’ এর মধ্যে সমকালীন সমাজ চিত্রে প্রসন্নময়ী দেবী, সনেটে প্রমথ চৌধুর, শোক কাব্যে প্রিয়ম্বদা দেবী, ঐতিহ্য বিষয়ক রচনায় আবুল হাশেম ও পল্লী কবিতায় বন্দে আলী মিয়ার নাম স্মরণীয়। আবু লোহানী প্রমুখ এক বা একাধিক কাব্য লিখেছেন। তাঁদের অনেকেই বিশিষ্ট প্রতিভার অধিকারী ছিলেন, সে তুলনায় সাহিত্য অঙ্গনে ততটা পরিচিতি লাভে সমর্থ হননি।
সাম্প্রতিক কবিতার ক্ষেত্রে জ্যোতিরিন্দ মৈত্র, মণীন্দ্র রায়, বাণী রায়, আব্দুল গণি হাজারী, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, জিয়া হায়দার, দাউদ হায়দার প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে সংখ্যাগত প্রাচুর্য ও সৃষ্টির বিচিত্রতায় সবচেয়ে প্রদীপ্ত নাম মণীন্দ্র রায়ের। যুগ যন্ত্রণা এবং একই সঙ্গে রোমান্টিকতা তাঁর রচনায় ফুটে উঠেছে। মণীন্দ্র রায়ের ‘মুখের মেলা’, ‘মোহিনী আড়াল’, ‘এই জন্মঃ জন্মভুমি’ কাব্যত্রয়, জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্রের ‘রাজধানী ও মধুবংশীয় গলি’, বাণী রায়ের ‘জুপিটার’, তরুণ সান্যালের ‘মাটির বেহালা’, আব্দুল গণি হাজারীর ‘সূর্যের সিড়ি’, জিয়া হায়দারের ‘একাত্তরের কান্না’, আবু হেনা মোস্তফা কামালের ‘আপন যৌবন বৈরী’, দাউদ হায়দারের ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’ ইত্যাদি কাব্য বাংলা কবিতার ধারার উল্লেখ্য সংযোজন। এদের অনেকেই বিভিন্ন সময়ে সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন। মণীন্দ্র রায় ১৯৬৯ সনে তাঁর ‘মোহিনী আড়াল’ কাব্যের জন্য ‘সাহিত্য আকাদেমী পুরস্কার’, আর আব্দুল গণি হাজারী ‘কতিপয় আমলার স্ত্রী’ লিখে ১৯৬৪ সনে ‘এশীয় কাব্য পুরস্কার’ লাভ করেছেন। তরুণতম দাউদ হায়দার রচিত ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’ কবিতাটি লন্ডনের আন্তর্জাতিক কবিতা সমিতি কর্তৃক ১৯৭২ সনের শ্রেষ্ঠ কবিতা হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে। ছড়ার ক্ষেত্রে প্রথমেই বিশিষ্ট নাম বন্দে আলী মিয়া। উপেন্দ্র কিশোর চৌধুরী সম্পাদিত বিখ্যাত শিশু-সাময়িকী ‘সন্দেশ’-এ নিয়মিত লিখতেন প্রসন্নময়ী দেবী। মণীন্দ্র রায় ব্যাঙ্গাত্মক ছড়ার ক্ষেত্রে বিশিষ্টতার পরিচয় দিয়েছেন।
গজল রচনার ক্ষেত্রে উল্লেখ্য নাম আবুল হাশেম। আধুনিক গানের ক্ষেত্রে আবু হেনা মোস্তফা কামাল, জিয়া হায়দার, ফজলে খোদা প্রমুখের নাম করা যেতে পারে। ছোট গল্পের ক্ষেত্রে কাহিনীর চকমপ্রদ বৈশিষ্ট ও রূপ সৃষ্টির অনন্যতার দিক থেকে প্রমথ চৌধূরীর নাম প্রথমেই উচ্চার্য। তার গল্প সংগ্রহ ‘চার ইয়ারী কথা’, ‘নীল লোহিত’। বাণী রায়ের একটি অত্যন্ত স্মরণীয় সৃষ্টি ‘ময়নামতির কড়চা’। সরদার জয়েন উদ্দিন এর গল্পের বিষয় গ্রাম-বাংলার সাধারণ মানুষের আলেখ্য। এ ক্ষেত্রে সরদার জয়েন উদ্দিনের বিশেষ সংযোজন-খরশ্রোতা, ‘নয়ান ঢুলী’। এ জেলার অন্যান্য গল্পকারদের মধ্যে বন্দে আলী মিয়া, ফতেহ লোহানী, রশীদ হায়দার প্রমুখের নাম স্মরণীয়। এর পর বাংলা ১২৯৬ সনে বের হয় ‘অশোকা’ রচয়িতা প্রসন্নময়ী দেবী। এ জেলার অন্যানা উপন্যাসিকের মধ্যে আবুল হাশেম, বন্দে আলী মিয়া, বাণী রায়, সরদার জয়েন উদ্দিন, রশীদ হায়দার প্রমুখের নাম উল্লেখ যোগ্য। এর মধ্যে বন্দে আলী মিয়া, বাণী রায় ও সরদার জয়েন উদ্দিনের উল্লেখ্য সংখ্যক উপন্যাস রয়েছে। এ জেলার উপন্যাসিকদের বিশেষ স্মরণীয় সৃষ্টি- রাধাচরণ চক্রবর্তীর ‘মৃগয়া’, বাণী রায়ের ‘প্রেম’, ‘কনে দেখা আলো’, সরদার জয়েন উদ্দিনের ‘অনেক সূর্যের আশা’, রশীদ হায়দার বিরচিত ‘খাঁচায়’।
কৌতুক নাট্য রচনায় পরিমল গোস্বামাী বিশেষ সিদ্ধহস্ত। এ ক্ষেত্রে তাঁর সংযোজন- ‘ঘুঘু’, ‘দুষ্মন্তে বিচার’। আবুল হাশেম, বন্দে আলী মিয়া, মণীন্দ্র রায় মুলতঃ নাট্যকার নন। একাধিক নাটক এদের রয়েছে। এর মধ্যে আবুল হাশেমের ‘মাষ্টর সাহেব’, বন্দে আলী মিয়ার ‘মসনদ’ ও মণীন্দ্র রায়ের ‘ভীষ্ম’(কাব্য নাট) ও ‘লখীন্দর’ ইত্যাদি নাম করা চলে। এ ছাড়া জিয়া হায়দার, রশীদ হায়দার বিশিষ্টতা পরিচয় দিয়েছেন। এদের রচনা সংখ্যা সীমিত হলেও বিষয়বস্তু ও শিল্পগত দিক থেকে স্মরণীয়।
ভ্রমণ বিষয়ক প্রথম উল্লেখ্য রচনা ‘আর্যবর্ত্য’(১২৯৫)। লেখিকা প্রসন্নময়ী দেবী। পরিমল গোস্বামীর এ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান - ‘পথে পথে’ । স্মৃতিকথামূলক রচনা এ জেলায় কিছু পাওয়া গেছে। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই বিশিষ্ট নাম প্রসন্নময়ী দেবী। এর রচনা-‘পূর্ব স্মৃতি’। এরপর আত্মকথা লিখেছেন প্রমথ চৌধুরী। এতে হরিপুর, পাবনার স্মৃতি রোমন্থন লক্ষিত হয়। এছাড়া বাংলা ১৩৩৩ সালের কার্তিক সংখ্যা ‘সবুজ পত্রে’ তিনি ‘পাবনার কথা’ নামে একটি প্রবন্ধও লিখেছেন। পরিমল গোস্বামীর স্মৃতিচারণমুলক স্মরণীয় সৃষ্টি ‘পত্রস্মৃতি’ ও ‘আমি যাঁদের দেখেছি’। অতীত স্মৃতির ওপর ভিত্তি করে বন্দে আলী মিয়ার রচনা ‘জীবনের দিনগুলি’। স্মৃতি কথার চেয়ে তুলনামূবকভাবে জীবনচরিত এ জেলায় রচিত অধিক জাতীয় গ্রন্থের মধ্যে বন্দে আলী মিয়ার ‘জীবন শিল্পী নজরুল’ স্মরণীয়। জীবনকথা বিষয়ক প্রবন্ধে এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে পরিমল গোস্বামী, মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন, আবু লোহানী প্রমুখ বিশিষ্টতার পরিচয় দিয়েছেন। অনুবাদের ক্ষেত্রেও এ জেলার অবদান বিশেষভাবে স্মরণীয়। প্রসন্নময়ী দেবীর ‘বনলতা’ কাব্যের কয়েকটি কবিতা ইংরেজী থেকে অনুদিত। কুমুদনাথ চৌধুরী রচিত 'Sports in jheels and jungle’ অনুবাদ করেছেন প্রিয়মব্দা দেবী। এর অনুদিত ‘ঝিলে জঙ্গলে শিকার’ সবুজপত্রের কয়েকটি সংখ্যায় বের হয়। পরিমল গোসাম্বী অনুদিত অন্যতম উল্লেখ্য গ্রন্থ ‘সুখের সন্ধানে’ (মূলঃ বারট্রাগু বাসোল)। মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন রুমীর ‘মসনবী শরীফের’ আংশিক অনুবাদ করেছেন। বাণী রায়ের ‘জুপিটার’ কাব্যের কয়েকটি কবিতা ইংরেজী থেকে অনুদিত। এবং অনুদিত গদ্য রচনা- ‘মোনালিসা’, খৃষ্টীয় দ্বিতীয় শতকে রচিত এপুলিয়াস- এর `Golden ass’ অবলম্বনে আব্দুল গণি হাজারী অনুবাদ করেছেন ‘স্বর্ণ গর্দভ’। এ ক্ষেত্রে তাঁর আর এক উল্লেখযোগ্য প্রয়াস ‘মনসমীক্ষা’ (মূল ফ্রয়েড)। আর্থার মিলার রচিত `Death of a Salesman’ অবলম্বনে ফতেহ লোহানীর রচনা ‘একটি সামান্য মৃত্যু’। ইউীন ও নীল- এর নাটকের অনুবাদ ‘বিলাপে বিলীন’।
কবি বন্দে আলী মিঞা
শিশু সাহিত্যেও পাবনা জেলার বিশিষ্ট ভুমিকা রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এ জেলায় উল্লেখ্য সংখ্যক শিশু সাহিত্যিকের আবির্ভাব ঘটেছে। এর মধ্যে প্রসন্নময়ী দেবী, প্রিয়মব্দা দেবী, মুহম্মদ মনসুরউদ্দিন ও বন্দে আলী মিয়া প্রমুখের নাম করা চলে। এর মধ্যে সংখ্যাগত দিক থেকে বন্দে আলী মিয়ার বইয়ের সংখ্যা পর্যাপ্ত। এ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৬২ সনে তিনি ‘বাংলা একাডেমী পুরস্কার’ লাভ করেছেন। প্রবন্ধের ক্ষেত্রে পাবনা জেলার অবদান ব্যাপক। প্রথমে সাহিত্য সমালোচনা ও গবেষণামূলক প্রবন্ধের কথা আলোচনা করা যেছে পারে। এতে প্রমথ চৌধুরী, মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন, ডঃ আবু হেনা মোসতফা কামাল ও জিয়া হায়দার প্রমুখের নাম স্মরণীয়। বাংলা গদ্যের বিবর্তনে ও প্রবন্ধ সাহিত্যের ধারায় প্রমথ চৌধুরীর অবদান বিশেষভাবে স্মরণীয়। প্রবন্ধ সাহিত্যে তাঁর অনবদ্য অবদান ‘বীরবলের হালখাতা’, ‘নানা কথা’, ‘নানা চর্চা’। বাগবৈদগ্ধ্য তাঁর রচনার প্রধান বৈশিষ্ট্য। আর আধুনিক সাহিত্যের ওপর গবেষণায় বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছেন ডঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল। ডঃ আবু হেনা রচিত গবেষণা নিবন্ধ- `The Bengli press and Literary writings, ১৮১৮-১৮৩১ ও সম্প্রতি প্রকাশিত প্রবন্ধ গ্রন্থ ‘শিল্পীর রুপান্তর’-এ মনস্বিতার পরিচয় মেলে। রম্য রচনার ক্ষেত্রে পরিমল গোস্বামী বিশেষ সিদ্ধহস্ত। নির্মল কৌতুকের প্রচ্ছন্ন লক্ষিত হয় তাঁর রচনায়। পাবনা জেলার সাহিত্য সাধনার নেপথ্যে সাময়িক পত্রের অবদান্ত কম নয়। অনেক সাময়িকী এ জেলা থেকে বের হয়েছে। এর মধ্যে ‘পাবনা দর্পণ’, ‘উদ্যোগবিধায়নী’, ‘আশালতা’, ‘সৎসঙ্গী’, ‘সাম্যবাদ’, ‘সুরাজ’, ‘আমাদের দেশ’, ‘যমুনা’, ‘প্রবাহ’ ও ‘বিবৃতি’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া এ জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, নানা প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিগত কিংবা যৌথ উদ্যোগে বেশ কিছু বার্ষিকী ও স্মরণিকা বের হয়েছে। তাই এ কথা নিঃসন্দেহে বলা চলে, সাহিত্যক্ষেত্রে পাবনা জেলার ভুমিকা শুধু ব্যাপকইনয়, সুদুরপ্রসারী প্রভাববাহীও বটে।
মতিউর রহমান নিজামী
পাবনার রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তিত্ব। তিনি দুইবার সংসদ সদস্য হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর আমীরি।
সাহিত্য অংগনের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অংগনেরও অনেক কৃতি মানুষের জন্ম হয়েছে পাবনায়। এদের অনেকেই জাতীয় পর্যায়ে শুধু নয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। সঙ্গীতে বারীণ মজুমদার, ইলা মজুমদার, প্রমথনাথ চৌধুরী, আব্দুল গফুর, সত্য মজুমদার, মনোয়ারা বেগম, ডলি সায়ন্তনী, বাদশা বুলবুল উল্লেযোগ্য।
এছাড়াও অন্য জেলায় জন্মগ্রহণ করলেও চাকরী/কর্ম সূত্রে পাবনাতে দীর্ঘদিন অবস্থানকালীন সময়ে সাহিত্য সাধনা করেছেন এমন সাহিত্যিকদের সংখ্যাও কম নয়। তন্মধ্যে সরদার আব্দুল হামিদ, কবি আশুতোষ বড়ুয়া প্রমুখ।
কিংবদন্তি নায়িকা সূচিত্রা সেন
অভিনয় শিল্পকে আলোকিত করেছেন অনেকেই। যেমনঃ সুচিত্রা সেন, তপন লাহিড়ী, আবুল হোসেন, তেজেন চক্রবর্তী, নিশি বকশী। এর মধ্যে অত্যন্ত গর্বের সাথে উল্লেখযোগ্য নাম উপমহাদেশের কিংবদন্তি নায়িকা সূচিত্রা সেন। তার বাবা করুনাময় দাশ গুপ্ত। চাকরি করতেন পাবনা পৌরসভায়। সূচিত্রা সেন বাবা-মা, ভাই-বোন নিয়ে বাস করতেন পাবনায়। নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন পাবনা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। পাবনাবাসি বর্তমানে পাবনা শহরের পুরান টেকনিক্যাল স্কুলের রাস্তার উত্তরে অবস্থিত তার পৈত্রিক বাড়ীকে কেন্দ্র করে সূচিত্রা সেন এর স্মৃতি রক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
ভাল পোস্ট। ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুনবিখাতো কিছু জিনিসের নাম
উত্তরমুছুন